বেশ কয়েক দিন আগে যাবার সুযোগ হয়ে ছিল তিস্তার পলি বিধৌত একটি নদীর পারের এলাকায় । বিশেষ কারনে দিন পেরিয়ে হয়ে যায় সন্ধ্যা তখন দেখছিলাম দুরের বাড়ি গুলতে মৃদু মৃদু আলো জ্বলছে কাছে গিয়ে দেখলাম সেখানে প্রত্যেক বাড়িতে কোথাও বিদ্যুৎ আবার কোথাও সৌর বাতির ঝলকানি , তবে প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব না হলেও পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে নতুন বই। তাই এসাইনমেন্ট এসাইনমেন্ট রব চারিদিক দেখে হয়ত উৎসব ভাবলেও খুব একটা ভুল মনে হবে না । এছাড়াও গ্রামীন পরিবেশে ধান খেতের পাশেই সু উচ্চ বহুতল বিশিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর দিকে তাকালে হয়ত আপনি ভুলতেই বসবেন আপনি কোথায় অবস্থান করছেন।
এই ছোট্ট গল্পটিই আমার প্রিয় মাতৃভূমির কোন এক পাড়াগাঁয়ের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত সমৃদ্ধির গল্প । ১৯৭১ থেকে ২০২০ গননার ভাষায় প্রায় ৪৯বছর । বিজয়ের এই ৪৯তম বছরের এমনি হাজারও সফলতার ও অর্জনের গল্প রয়েছে আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে যা সত্যিকার অর্থেই ১৯৭১ এর বাংলাদেশের শিক্ষা ও ২০২০ এর শিক্ষার তুলনার বিচারে অনেক। এবং তুলনা করতে গেলে হয়ত প্রতিবারই অবাক হতে হবে এটি ভেবে যে বাংলাদেশ কিভাবে এই ৪৯ বছর তার নিজের শিক্ষা ব্যবস্থার উৎকর্ষ সাধন করেছে।
১৯৪০ এর লাহোর প্রস্তাব, লিখিল ভারত মুসলিম লীগ ১৯৪৭ এর দেশ ভাগ ,পাকিস্থান প্রতিষ্ঠা ও ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয় পর্যন্ত এই চব্বিশ বৎসর নানা কারণেই জাতির ইতিহাসে অতীব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। পলাশীর যুদ্ধক্ষেত্রে মুসলিম শাসনের অবসানের পর উনিশশো সাতচল্লিশ পর্যন্ত ছিল দেশি-বিদেশি অমুসলিম শক্তির মোকাবেলায় স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার সংগ্রাম, শেষ পর্যায়ে এ সংগ্রাম মুসলিম নবজাগরণের আন্দোলনে উন্নীত হয়েছিল। এক হিসাবে সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর পর্যন্ত ছিল যেন এই রেনেসাঁ থেকে পশ্চাদপসরণের পালা। শেষ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্থান থেকে জন্ম হয় একটি নতুন পতাকা,নতুন স্বাধীন দেশ নাম তার বাংলাদেশ ।
স্বাধীন হবার পর থেকেই বসে থাকেনি বাংলাদেশ বসে থাকেনি এর শিক্ষা কার্যক্রম, ১৯৭২ সালে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গঠিত হয় প্রথম শিক্ষা কমিশন। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন ও বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়। এবং পরবর্তী বছরই অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার ৩৭,০০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একসাথে জাতীয়করণ করেন যেটি সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এছারাও শিক্ষার্থীদের মান সম্পন্ন ও গুনগত শিক্ষা নিশ্চিত কল্পে ১৯৭৫ সালে “জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন কমিটি” গঠিত হয়। এই কমিটি প্রণীত রিপোর্টের আলোকে বিভিন্ন স্তরের জন্য শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হয় এবং পাঠ্যপুস্তক রচনা করা হয়।
পরবর্তীকালে ১৯৭৮ সালে জাতীয় শিক্ষা উপদেষ্টা কমিটি, ১৯৮৩ সালে মজিদ খান শিক্ষা কমিশন, ১৯৮৮ সালে মফিজউদ্দীন আহমদ শিক্ষা কমিশন, ১৯৯৭ সালে শামসুল হক শিক্ষা কমিটি, ২০০২ সালে এম.এ. বারী শিক্ষা কমিশন, ২০০৩ সালে মনিরুজ্জামান মিয়া শিক্ষা কমিশন এবং সর্বশেষ ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশসমূহের আলোকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এগিয়ে চলেছে। শিক্ষাব্যবস্থার বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে অন্যতম।
যুগান্তকারী একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ২০১৩ সালে। এক ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে যা পর্যায়ক্রমিক তিন ধাপে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষা ধারার সমগ্র প্রাথমিক শিক্ষাকেই জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়। এ ছাড়াও ২০০০ পরবর্তী সালে শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সে গুলো হচ্ছেঃ
১)জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন।
২)বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ প্রণয়ন।
৩) বিনামূল্যে ৯২ কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ।
৪)সকল পাঠ্যপুস্তক ই-বুকে রূপান্তর।
৫) পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের যথাযথ ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা।
৬)২০১৪ সালে প্রায় ১৭ বছর পর পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী করে সংস্কার ও নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন।
৭)২৩,৩০০ স্কুলে-কলেজ-মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন।
৮) মাধ্যমিক পর্যায়ে ১ কোটি ৩২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯৪৯ জন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান।
৯) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় স্নাতক পর্যায়ের ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন ছাত্রীকে মোট ৭৫.১৬ (পচাত্তর কোটি পনের লক্ষ) কোটি উপবৃত্তি প্রদান।
১০) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি প্রবর্তন।
১১) ইংরেজি, গণিত ও কম্পিউটারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৯ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৫৮ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান।
১২) ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭৮৫ জন শিক্ষককে সৃজনশীল প্রশ্নপত্র প্রণয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
১৩) প্রায় ৭০০০ স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার একাডেমিক বিল্ডিং নির্মাণ।
১৪) সরকারি পলিটেকনিকে ডাবল শিফট চালু, উপজেলা পর্যায়ে ১০০টি কারিগরি স্কুল স্থাপন, ২৩টি জেলা ও ৩টি বিভাগীয় শহরে মহিলা পলিটেকনিক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
১৫) ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ সৃষ্টি।
১৬) কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা প্রণয়োন।
১৭) সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের ২য় গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা প্রদান।
১৮) জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন।
১৯) ১০০০ মাদ্রাসায় নতুন বিল্ডিং নির্মাণ,
২০। মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু, ৩৫ মডেল মাদ্রাসায় স্থাপন দাখিল মাদ্রসা, হাই স্কুল এবং আলীম, কামীল মাদ্রসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের বেতন এবং মর্যাদা সাধারণ কলেজের সমান করা হয়েছে।
১ম শ্রেণি থেকে ৯ম-১০ শ্রেণি (ইবতেদায়ী থেকে দাখিল) পর্যায়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিণামূল্যে বই দেয়া হচ্ছে।
২০) জাতীয় সংসদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস।
২১) ৩১০টি মডেল স্কুল স্থাপন কার্যক্রম গ্রহণ।
২৩) ৪৮১টি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের রাজস্ব-খাতে অন্তর্ভুক্তি।
২৪) বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
২৬। উপজেলায় আইসিটি ট্রেনিং ও রিসোর্স সেন্টার প্রতিষ্ঠা।
২৭) স্কুলে ১ জানুয়ারি ও কলেজে ১ জুলাই ক্লাস শুরু, ১ নভেম্বর জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষা, ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা, ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরু এবং ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ।
২৮) প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি।
২৯) বিটিভি’র মাধ্যমে সেরা শিক্ষকদের মানসম্পন্ন পাঠদান সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্প্রচার।
৩০) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট স্থাপনের মাধ্যমে মাতৃভাষা গবেষণা ও সংরক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি।
৩১) ‘শিক্ষা মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা সদরে অবস্থিত সকারি পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জেলা সদরের ৭০টি পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন।
৩২) প্রথমবারের মতো সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা’র মাধ্যমে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ের ৭,০০০ সেরা মেধাবীকে সনদ ও পুরস্কার প্রদান এবং জাতীয় পর্যায়ে ১২ জনকে ১ লক্ষ করে টাকা পুরুষ্কার প্রদান করা হয়েছে।
৩৪) প্রায় ৯৯% শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি করা সম্ভব হয়েছে।
৩৫) ২৬,১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করণ করা হয়েছে।
৩৬) প্রাথমিক স্কুলে লক্ষাধিক নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এগুলো প্রায় সবগুলই বিগত ২০ বছরের শিক্ষা ক্ষেত্রে সফলতার প্রাথমিক তথ্য এ এছাড়াও দিনকে দিন প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে শিক্ষকদের যার মাধ্যমে গুনগত শিক্ষার দিকে ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ। যার প্রমান মিলেছে করোনা কালীন সময়টি এসে অনেক শিক্ষার্থীকেই অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে যুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।তবুও এসব উন্নয়নের পর ৪৯ বছরে শিক্ষা ক্ষেত্রে ঘটেছে অসম্ভব রকমের দুর্নীতি , অরাজকতা এমনকি শিক্ষক সমাজের বিভিন্ন সময় হয়েছে অপমান। ৫০ তম বছরের দ্বার প্রান্তে দারিয়েও আজ ১০০ শিক্ষার্থীকে যদি বলা হয় কে কে শিক্ষক হতে চাও তবে খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী হয়ত শিক্ষক হতে চাইবে এর কারন সু স্পষ্ট সেটি হচ্ছে দৃশ্যমান উন্নতির পিছনে রয়েছে না না বিধ অপ্রাপ্তি । আশা করি সামনের দিনগুলোতে শিক্ষা বাবস্থার উত্তত উত্তর উন্নতি সাধিত হবে। নিশ্চিত হবে গুনগত শিক্ষা ও শিক্ষকরা পাবেন যথাযথ সম্মান।
২)বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ প্রণয়ন।
৩) বিনামূল্যে ৯২ কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ।
৪)সকল পাঠ্যপুস্তক ই-বুকে রূপান্তর।
৫) পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের যথাযথ ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা।
৬)২০১৪ সালে প্রায় ১৭ বছর পর পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী করে সংস্কার ও নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন।
৭)২৩,৩০০ স্কুলে-কলেজ-মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন।
৮) মাধ্যমিক পর্যায়ে ১ কোটি ৩২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯৪৯ জন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান।
৯) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় স্নাতক পর্যায়ের ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন ছাত্রীকে মোট ৭৫.১৬ (পচাত্তর কোটি পনের লক্ষ) কোটি উপবৃত্তি প্রদান।
১০) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি প্রবর্তন।
১১) ইংরেজি, গণিত ও কম্পিউটারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৯ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৫৮ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান।
১২) ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭৮৫ জন শিক্ষককে সৃজনশীল প্রশ্নপত্র প্রণয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
১৩) প্রায় ৭০০০ স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার একাডেমিক বিল্ডিং নির্মাণ।
১৪) সরকারি পলিটেকনিকে ডাবল শিফট চালু, উপজেলা পর্যায়ে ১০০টি কারিগরি স্কুল স্থাপন, ২৩টি জেলা ও ৩টি বিভাগীয় শহরে মহিলা পলিটেকনিক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
১৫) ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ সৃষ্টি।
১৬) কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা প্রণয়োন।
১৭) সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের ২য় গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা প্রদান।
১৮) জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন।
১৯) ১০০০ মাদ্রাসায় নতুন বিল্ডিং নির্মাণ,
২০। মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু, ৩৫ মডেল মাদ্রাসায় স্থাপন দাখিল মাদ্রসা, হাই স্কুল এবং আলীম, কামীল মাদ্রসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের বেতন এবং মর্যাদা সাধারণ কলেজের সমান করা হয়েছে।
১ম শ্রেণি থেকে ৯ম-১০ শ্রেণি (ইবতেদায়ী থেকে দাখিল) পর্যায়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিণামূল্যে বই দেয়া হচ্ছে।
২০) জাতীয় সংসদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস।
২১) ৩১০টি মডেল স্কুল স্থাপন কার্যক্রম গ্রহণ।
২৩) ৪৮১টি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের রাজস্ব-খাতে অন্তর্ভুক্তি।
২৪) বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
২৬। উপজেলায় আইসিটি ট্রেনিং ও রিসোর্স সেন্টার প্রতিষ্ঠা।
২৭) স্কুলে ১ জানুয়ারি ও কলেজে ১ জুলাই ক্লাস শুরু, ১ নভেম্বর জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষা, ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা, ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরু এবং ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ।
২৮) প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি।
২৯) বিটিভি’র মাধ্যমে সেরা শিক্ষকদের মানসম্পন্ন পাঠদান সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্প্রচার।
৩০) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট স্থাপনের মাধ্যমে মাতৃভাষা গবেষণা ও সংরক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি।
৩১) ‘শিক্ষা মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা সদরে অবস্থিত সকারি পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জেলা সদরের ৭০টি পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন।
৩২) প্রথমবারের মতো সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা’র মাধ্যমে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ের ৭,০০০ সেরা মেধাবীকে সনদ ও পুরস্কার প্রদান এবং জাতীয় পর্যায়ে ১২ জনকে ১ লক্ষ করে টাকা পুরুষ্কার প্রদান করা হয়েছে।
৩৪) প্রায় ৯৯% শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি করা সম্ভব হয়েছে।
৩৫) ২৬,১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করণ করা হয়েছে।
৩৬) প্রাথমিক স্কুলে লক্ষাধিক নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এগুলো প্রায় সবগুলই বিগত ২০ বছরের শিক্ষা ক্ষেত্রে সফলতার প্রাথমিক তথ্য এ এছাড়াও দিনকে দিন প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে শিক্ষকদের যার মাধ্যমে গুনগত শিক্ষার দিকে ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ। যার প্রমান মিলেছে করোনা কালীন সময়টি এসে অনেক শিক্ষার্থীকেই অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে যুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।তবুও এসব উন্নয়নের পর ৪৯ বছরে শিক্ষা ক্ষেত্রে ঘটেছে অসম্ভব রকমের দুর্নীতি , অরাজকতা এমনকি শিক্ষক সমাজের বিভিন্ন সময় হয়েছে অপমান। ৫০ তম বছরের দ্বার প্রান্তে দারিয়েও আজ ১০০ শিক্ষার্থীকে যদি বলা হয় কে কে শিক্ষক হতে চাও তবে খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী হয়ত শিক্ষক হতে চাইবে এর কারন সু স্পষ্ট সেটি হচ্ছে দৃশ্যমান উন্নতির পিছনে রয়েছে না না বিধ অপ্রাপ্তি । আশা করি সামনের দিনগুলোতে শিক্ষা বাবস্থার উত্তত উত্তর উন্নতি সাধিত হবে। নিশ্চিত হবে গুনগত শিক্ষা ও শিক্ষকরা পাবেন যথাযথ সম্মান।