শিক্ষাক্রম ও নির্দেশনা
শিক্ষাক্রম ও নির্দেশনা শিক্ষার এমন একটি ক্ষেত্র যা শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শিক্ষাক্রম গবেষণা ও শিক্ষাক্রম এর বিকাশ নিয়ে আলোচনা করে। তার পাশাপাশি এটি শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীর অর্জনকে তরান্বিত করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। এবং এটি একটি দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষেত্র যা শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের পাশাপাশি উন্নত শিক্ষাক্রম ডিজাইন এবং শিক্ষা দানের সর্বোত্তম কৌশল অনুশীলনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শিক্ষাক্রমঃ
শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষাক্রম বলতে একটি শিক্ষাগত পরিকাঠামোকে বোঝায় যা একজন শিক্ষাবিদকে সহায়তা করে বিষয়বস্তু নির্বাচন, বিষয়বস্তুর শিখন শেখানোর প্রক্রিয়া নির্বাচন এবং শিক্ষার্থীদের প্রান্তিক যোগ্যতা নির্ধারণে মূল্যায়নের পদ্ধতি নির্বাচন ছাড়াও শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক বিষয় সম্পর্কে। শিক্ষাক্রম সরকারি সংস্থা বা বেসরকারি সংস্থা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা শিক্ষক অথবা শিক্ষাবিদ দ্বারা তৈরি হতে পারে।
নির্দেশনাঃ
শিক্ষায় নির্দেশনা বলতে মূলত শ্রেণিকক্ষে শিখন শেখানো কার্যক্রম কে বোঝানো হয়ে থাকে। যেখানে উপকরণ শিক্ষকদের যথাযথ নির্দেশনা প্রদানে সহায়তা করে থাকে। উপযুক্ত উপকরনের মাধ্যমে একজন শিক্ষক শ্রেণিকক্ষের যথাযথ শিখন শেখানো পরিবেশ করণীয় কার্যক্রম ও বিষয়বস্তু ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন। তবে বিষয়বস্তু উপস্থাপন মূলত নিজেই নির্দেশনার মাধ্যমে হয়ে থাকে।
শিক্ষাক্রম
শিক্ষাক্রম একজন ব্যক্তির শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্জিত শিখন অভিজ্ঞতাকে বোঝায় না বরং একজন ব্যক্তির প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক শিখন অভিজ্ঞতা কেও নির্দেশ করে।
শিক্ষাক্রম মূলত নিম্নক্ত বিষয়গুলোর সামগ্রিক লিখিত রূপঃ
কি শেখা হবে?
কখন শেখা হবে?
কিভাবে শেখা হবে?
কোথায় শেখা হবে?
কত সময় ধরে শিখতে হবে?
কে শেখাবেন?
কে শিখবে? এবং
কি ধরনের উপকরণ ব্যবহার হবে?
নির্দেশনা
সাধারণভাবে নির্দেশনা বলতে একটি নির্দেশ বা আদেশ কে বোঝায় কিন্তু শিক্ষায় নির্দেশনা বলতে এটি শিখন প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্যমূলক দিকনির্দেশনা কে নির্দেশ করে।
এটি মূলত কোন বিষয়বস্তু শ্রেণিকক্ষে উপস্থাপনের জন্য শিক্ষক যে ধরনের শিখন শেখানো পদ্ধতি ও শিখন কার্যক্রম ব্যবহার করে থাকেন তাকেই নির্দেশ করে।
আবার নির্দেশনা বলতে কারো শিখনের সহায়তা করা কেউ বোঝানো হয়ে থাকে।
নির্দেশনার মাধ্যমেই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সামনে কারিকুলাম কে তুলে ধরেন। যদিও দেশের শিক্ষাক্রমের পরিমার্জন পরিবর্তনে একজন শিক্ষকের কর নিয়ন্ত্রণ নেই কিন্তু নির্দেশনায় তার ব্যাপক সুযোগ বিদ্যমান রয়েছে।
নির্দেশনা মূলত দুই ধরনের হতে পারে
১.শিক্ষক কেন্দ্রিক নির্দেশনাঃ নির্দেশনা মূলত নিষ্ক্রিয় ধরনের এবং এর সামগ্রিক বিষয়বস্তু সমূহ শিক্ষক দ্বারা নির্ধারিত ও পরিকল্পিত হয়ে থাকে।
২.শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক নির্দেশনাঃ